আমি যখন ধরি ভালো করেই ধরি

বৃহস্পতিবার, ৩১ মে ২০১৮ | ২:১১ অপরাহ্ণ |

আমি যখন ধরি ভালো করেই ধরি
ছবি: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতেই চলমান মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। চলমান মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে ‘গডফাদার’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কাকে গডফাদার বলছেন? কে গডফাদার, কে ডন, সেটা কিন্তু আমরা জানি না। যারাই এর সঙ্গে জড়িত, দীর্ঘদিন থেকে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করেছে যে কারা এর সঙ্গে জড়িত। আমরা কিন্তু হঠাৎ করে যাইনি…। আমি যখন ধরি ভালো করেই ধরি, এটা তো ভালো করেই জানেন। কার ভাই, কার চাচা, কার কী, ওটা কিন্তু দেখি না। এটা একটু মাথায় রাইখেন।’

গতকাল বুধবার বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরের বিষয়ে তথ্য জানাতে তাঁর বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়েছে। ‘শান্তিনিকেতনে স্থাপিত বাংলাদেশ ভবন উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ২৫ ও ২৬ মে পশ্চিমবঙ্গ সফর করেন।


শেখ হাসিনা বলেন, সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠক হয়। এ সময় উভয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে স্থাপিত বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন। একই সঙ্গে তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান আসানসোলে অবস্থিত ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়’ জাতীয় কবির ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তনে তাঁকে ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে সেখানে উপস্থিত হয়ে সম্মাননা গ্রহণ করেন।


প্রায় দেড় ঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা চলমান মাদকবিরোধী অভিযান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, তিস্তার পানি চুক্তি, দুই ক্রিকেটারের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন।

মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাদক সমাজে একটা ব্যাধির মতো। আপনারাই পত্রপত্রিকায় লিখেছেন মাদকের বিরুদ্ধে। আবার আজকে যখন অভিযান চলছে তখন কোনটা কিভাবে কী হচ্ছে সেটার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার শুরু করেছেন। কোনটা চান, অভিযান চলুক, নাকি বন্ধ হয়ে যাক?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুব স্বাভাবিক, এ ধরনের অভিযান চালাতে গেলে কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। যখন পুলিশ বা র্যাব একটা অভিযানে যায়, যখন তাদের একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়, আর সেই ঘটনায় যদি কোনো কিছু ঘটে যায়, সেটা নিশ্চয়ই…। যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, আপনারা একটা ঘটনা দেখান যে কোনো নিরীহ ব্যক্তি এর শিকার হয়েছে। যদি কোনো নিরীহ ব্যক্তি শিকার হয়ে থাকে আমরা নিশ্চয়ই তার ব্যবস্থা নেব। কিন্তু একটা অভিযান চালাতে গিয়ে যদি কোনো ঘটনা ঘটে, আর সেটাই যদি বড় করে দেখান, তাহলে বলেন অভিযান বন্ধ করে দেই।’

মাদকবিরোধী অভিযানে শুধু অস্ত্রের ব্যবহার নয় আইনি পথও অনুসরণ হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ অভিযানে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে। কোনো পত্রিকায় কত গ্রেপ্তার হচ্ছে সেটা লেখা হয় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান করতে গেছি, তখনও একই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি। কিন্তু সন্ত্রাস আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। মাদকবিরোধী অভিযান যেটা চলছে, সারা দেশের মানুষ কিন্তু স্বস্তি পাচ্ছে। এটা মানুষের দাবি।’

তিনি বলেন, ‘মাদক ঘরে ঘরে। আজকে মেয়ে বাবা-মাকে হত্যা করছে, ছেলে মাকে-বাবাকে হত্যা করছে, ভাই ভাইকে হত্যা করছে এই মাদকের কারণে। আজকে সমাজে একটা হাহাকার এই মাদক নিয়ে। এর বিরুদ্ধে কি অভিযান চালানো যাবে না?’

সব কথা এখন জানার দরকার নেই
তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত সরকার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে—এই বিষয়টি সরকার জানে কি না জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব কথা এখন জানার দরকার নেই। এটা তাদের বিষয়। তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা বলেছে, বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে তারা আলোচনা করছে। এটা তাদের জিজ্ঞেস করেন। আমাকে জিজ্ঞেস করেন কেন?’

তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের আশ্বাসের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কারো ওপর কোনো কিছুর জন্য ভরসা করে চলি না। আমার দেশের পানির ব্যবস্থা নিজেরা কিভাবে করা যায় আমি সেই ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। আমি নদী ড্রেজিং করছি। বর্ষা মৌসুমে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করছি।’

ভারত সফরে তিস্তার পানি বণ্টন ও রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যৌথ নদী কমিশন আছে, তারা আলাপ-আলোচনা করছে। মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের বিষয়ে তারা আশ্বাস দিয়েছে।’

যা দিয়েছি ভারত সেটা সারাজীবন মনে রাখবে
বাংলাদেশ এখন ভারতের কাছে প্রতিদান চায়, ভারতের পত্রিকায় প্রকাশিত এমন সংবাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কোনো প্রতিদান চাই নাই। প্রতিদান চাওয়ার কী আছে? আর কারো কাছে চাওয়ার অভ্যাস আমার নাই। আমরা ভারতকে যা দিয়েছি সেটা ভারত সারাজীবন মনে রাখবে। প্রতিদিনের গুলি, বোমাবাজি, মানুষ হত্যা, আমরা তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। এটা তাদের মনে রাখতে হবে। কাজেই আমি কোনো প্রতিদান চাই নাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের এত শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দিয়েছে, কাঁধে কাঁধ রেখে যুদ্ধের ময়দানে একসঙ্গে রক্ত দিয়েছে, আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সেটাকে স্মরণ করি।’

পৃথিবীর সব দেশেই তারকারা মনোনয়ন পেয়ে থাকেন
সম্প্রতি ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনার বিষয়টিও উঠে আসে সংবাদ সম্মেলনে। তারকারা রাজনীতিতে এলে তৃণমূলের রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে আসাটা বাধাগ্রস্ত হবে কি না জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই তারকারা মনোনয়ন পেয়ে থাকেন। এটা নতুন কিছু নয়। এখন কারো যদি আকাঙ্ক্ষা থাকে, নিশ্চয়ই…। তাঁরা (মাশরাফি ও সাকিব) আমাদের দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন, খেলাটাকে ভালো অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। পৃথিবীর সব দেশেই এটা দেখা যায়। তার মানে এই নয় যে তৃণমূলের নেতারা মনোনয়ন পান না। আমরা সবাই তৃণমূল থেকে এসেছি। স্কুলজীবন থেকে রাজনীতি করে উঠে এসেছি। আমরা সেলিব্রেটি হয়ে আসিনি। কাজেই আমরা তো আছিই।’

এক বালতি পানি রিজভীকে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তা চুক্তির অগ্রগতি না হওয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপির সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওরা তো একটা কথা বলেই যাচ্ছে, এক বালতি পানিও নাকি আনতে পারিনি। আমার মনে হয় এক বালতি পানি রিজভীকে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।’ এ সময় হেসে প্রধানমন্ত্রী তাঁর পাশে উপস্থিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বলেন, ‘এটা কাকে দায়িত্ব দেওয়া যায়? একজনকে দায়িত্ব দাও এক বালতি পানি পাঠিয়ে দেবে।’

নিজের প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়ে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি তখন বলেছিল দুই বছরের কম সময়ের জন্য চুক্তি হলে তারা মানবে না। আমি ৩০ বছরের জন্য চুক্তি করেছি। কাজেই আমরা যেটা করি দেশের স্বার্থের জন্য করি। যারা মুচলেকা দেয় তারা সেটা করে না।’

রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পান্থপথ কিন্তু একটা খাল, ভবিষ্যতে যদি ক্ষমতায় আসতে পারি, ওই রাস্তাগুলোর ওপরে বক্স কালভার্ট ভেঙে দিয়ে খালের ওপর দিয়ে রাস্তা করে দেব। সেগুনবাগিচায় খাল করে ওপর দিয়ে রাস্তা করে দেব, নিচ দিয়ে নৌকা চলবে। আমি সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি।’

আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ও নির্বাচনকালীন সরকার, বিদেশি চাপ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের পায়ের নিচে মাটি নেই তারাই বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করে। আমাদের পায়ের নিচে মাটি আছে। কোনো বিদেশি চাপ নেই। যারা ঠাণ্ডা মাথায় মানুষ খুন করে তাদের জন্য কেন হা-হুতাশ! কোনো দল নির্বাচনে আসবে কি না সেটা তাদের বিষয়। আর নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। করবে নির্বাচন কমিশন।’

সুষ্ঠু নির্বাচনে বিকল্প ধারার সভাপতি বি চৌধুরীর জাতীয় সরকারের দাবির প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশে ভোট নিয়ে যত ধরনের খেলা, যত ধরনের অনিয়ম, তাদের আমলে শুরু হয়েছে। জিয়াউর রহমানের ১৯৮১ সালের নির্বাচনের কথা বদরুদ্দোজা চৌধুরী ভুলে গেছেন। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা ভুলে গেছেন। বিএনপি নেতাদের কাছে ধাওয়া খাওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যেই বিএনপি নেতারা তাঁকে ধাওয়া দিল, আজ তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য কথা বলেন। এ সময় তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘তার অবস্থা হচ্ছে মেরেছ কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দিব না!’

নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য এখন থেকে প্রক্রিয়া চালাতে প্রধানমন্ত্রীকে লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের প্রক্রিয়া চালানোর আমার কোনো ইচ্ছা নাই। লবিস্ট রাখার মতো আর্থিক সামর্থ্য আমার নেই। সামর্থ্য থাকলেও এসব আমি সমর্থন করি না। বাংলাদেশের মানুষকে শান্তি দিতে পারলাম কি না সেটাই বড় বিষয়। গরিব মানুষের সুদের টাকায় নোবেল পাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই।’ তিনি বলেন, ‘কবি নজরুলের নামে ডিগ্রি পেয়েছি। এটাই অনেক সম্মানজনক আমার কাছে।’

খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাক
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের নেতাদের খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একদিকে আপনারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবেন, আবার দুর্নীতির দায়ে কেউ জেলে গেলে তার মুক্তিও চাইবেন! আর জেল তো দিয়েছে কোর্ট। আমি তো দিই নাই। সাজা দেবার কোনো এখতিয়ার আমার নাই। তো মুক্তিটা কার কাছে চাইছে, সেটা আমাকে বুঝিয়ে দেন। ওনার যদি মুক্তি চাইতে হয় তবে রাষ্ট্রপতির কাছে উনি ক্ষমা চাক। রাষ্ট্রপতি যদি মুক্তি না দেন তবে তাঁকে দোষ দিয়েন। এখানে কোর্টের রায়। আমার তো কিচ্ছু করার নাই। কার কাছে মুক্তি চান? আমি কি ওনাকে জেলের তালা খুলে নিয়ে আসতে পারব? সেটা তো পারব না।’

যুক্তফ্রন্টের নেতাদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন, মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলেন। আর যেই জেল হয় তখন তার মুক্তি চান। এই তামাশাটা আমার পছন্দ না।’

বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিন্দু বিন্দু থেকেই তো সিন্ধু হয়। তবে আবার আরেকটি কথাও আছে, জিরো প্লাস জিরো ইক্যুয়াল টু জিরো। সেটাও মনে রাখেন। তারা ছোট ছোট দল একসঙ্গে হচ্ছে—এটা আমরাও চাই। বিএনপির মতো একটি সন্ত্রাসী দল আবার এ দেশে ক্ষমতায় আসুক এটা আমরা চাই না। এ দেশে তারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ করুক এটা আমরা চাই না। এ ধরনের একটা ভালো জোট যদি করতে পারে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তবে খুব ভালো কথা।’

এখন কেন পানি ভিক্ষা চাইতে হচ্ছে?

তিস্তার পানি সমস্যা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিস্তা ব্যারাজ কেন নির্মাণ করা হলো? ব্যারাজ করে কেন এখন পানি ভিক্ষা চাইতে হচ্ছে? আগের সরকারগুলোর কাছে এর জবাব কী?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তার পানি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যৌথ নদী কমিশন গঠন করা হয়েছে। তারা এ নিয়ে আলোচনা করছে। আমি নিজের প্রতি ভরসা রাখি। প্রতিটি নদী খনন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো একটি বিষয় নিয়ে দুটি দেশের মধ্যে সমস্যা থাকতেই পারে। তাই বলে বারবার একই বিষয় তুলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে তিক্ততা আনতে চাই না।’ (সূত্র: কালের কণ্ঠ)

আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments

প্রধান কার্যালয়: শিমুল লজ, ১২/চ/এ/২/৪ (২য় তলা), রোড নং ৪, শেরেবাংলা নগর,শ্যামলী,ঢাকা‌.
বার্তা বিভাগ-01763234375 অথবা 01673974507, ইমেইল- sangbadgallery7@gmail.com

আঞ্চলিক কার্যালয়: বঙ্গবন্ধু সড়ক, আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও-৫১০০

2012-2016 কপি রাইট আইন অনুযায়ী সংবাদ-গ্যালারি.কম এর কোন সংবাদ ছবি ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথায় প্রকাশ করা আইনত অপরাধ

Development by: webnewsdesign.com