ইবির অাবাসিক হল থেকে মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
ইবির অাবাসিক হল থেকে মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১৮ |
৬:১৭ অপরাহ্ণ |
ইবির অাবাসিক হল থেকে মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় লালন শাহ হল থেকে মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্রলীগের কর্মী ও একজন বহিরাগতকে আটক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। মঙ্গলবার বিকেল ৬টায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে ব্যাপক ভাংচুর, ককটেল বিস্ফরণ ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। প্রত্যক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি লালন শাহ হলের দক্ষিণ ব্লকের নিচতলার পরিত্যক্ত খেলোয়ার রুম থেকে লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আকাশ হোসেন ও দানিয়েল নামে এক বহিরাগত কে ফেন্সিডিলের ব্যাগ, চাপাতি বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে। আটককৃত ব্যাগসহ ওই দুইজনকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী আকাশকে থানা হেফাজত থেকে নিয়ে আসে। এই ঘটনার জের ধরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা রাত প্রায় সাড়ে ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে ব্যাপক ভাংচুর করে।
প্রক্টরের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে হই হই রই রই প্রক্টর গেলি খই। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় দালালের ঠাঁই নাই ইত্যাদি শ্লোগান দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। এছাড়া প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে। তাৎক্ষনাত সেক্রেটারি জুয়েল রানা হালিম এসে কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন তারপরেও তারা ভাঙ্গচুর চালিয়ে যায়। প্রক্টরের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা হুশিয়ার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করে। ছাত্রলীগের অভিযোগ, আবাসিক হল প্রভোস্টের অনুমতি ব্যতীত কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজেই ওই সব মাদক দ্রব্য সরবরাহ করে ছাত্রলীগের কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো: হারুন উর রশিদ আসকারীর সাথে বিষয়টি সুরাহা করতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারী সাক্ষাত করেন। এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞতিতে বলা হয় ,শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কুচক্রী মহল চেষ্টা করছে, তিনি কখনো মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন না, এখনো নেই, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এর তীব্রনিন্দা প্রতাবাদ জানাচ্ছে।
প্রেস বিজ্ঞতিতে অারো উল্লেখ্য করা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্যালে ইট নিক্ষেপের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৯ বোতল ফেন্সডিল, ৩ টি চাপাতি ও মাদকের ব্যাগসহ মো: দানিয়েল নামের একজন স্থানীয়কে সোপর্দ করেছেন। আসামীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হচ্ছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘দুইজন বহিরাগতকে লালন শাহ আবাসিক হলের নিচ তলার খেলোয়ার রুম থেকে মাদকের ব্যাগসহ হাতেনাতে ধরেছি। একজনকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে অন্য জন পালিয়ে গেলেও তার ব্যক্তিগত পরিচয় পত্র থেকে জানা গেছে সে মালয়েশিয়া থাকে।’
comments