আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), মাদারাসায় দাখিল সার্টিফিকেট এবং মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (ভোকেশনাল) পরীক্ষা-২০১৮ শুরু হচ্ছে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে আগামী ২৫ পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। সারাদেশে অভিন্ন ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং দু’টি বিশেষায়িত (মাদরাসা এবং কারিগরি) বোর্ডের অধীনে এ পরীক্ষা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার পরীক্ষার প্রথম দিনে ৮টি সাধারণ বোর্ডে বাংলা ১ম পত্র এবং মাদরাসা বোর্ডে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বীয় বিষয়ের প্রতিদিনের পরীক্ষা সকাল ১০ থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। শুধুমাত্র ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরেও পরীক্ষা হবে। দুপুরের পরীক্ষা বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে।
২০১৮ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার জন্য ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছিল সব কয়টি ২১ লক্ষ ১৪ হাজার ২ শ’ ২২ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর দেয়া তথ্যানুসারে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের এ পরীক্ষায় নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫ শ’ ৭৩ জন। অর্থাৎ ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৬ শ’ ৮৯ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ঝরে পড়ার হার শূন্যে আনা কঠিন। তবে, ঝরে পড়া বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উপবৃত্তি চালু, বিনামূল্যে বই বিতরণসহ নানা কর্মসূচী চলমান।
ঝরে পড়ার এ তথ্যের পরও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে বুধবার মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৮ সালের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ জন। এ মধ্যে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী রয়েছে, ২ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪৬ জন। মন্ত্রী বলেন, বিগত বছরের চাইতে ২০১৮ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী বেড়েছে,২ লাখ ৪৫ হাজার ২ শ’ ৮৬ জন। তবে, ঝরে পড়ার চিত্রটিকে তিনি তুলে ধরেননি।
মন্ত্রী আরো বলেন, সাধারণ ৮টি বোর্ডে ছাত্রের চাইতে ছাত্রী পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৪২ হাজার ৬৯০জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রের চাইতে ছাত্রী পরীক্ষার্থী বেড়েছে ২ হাজার ৪৫৬ জন। তবে, কারিগরি বোর্ডে ছাত্রীর চাইতে ছাত্র সংখ্যা বেশি। মন্ত্রী জানান, সারাদেশের ২৮ হাজার ৫৫১ টি প্রতিষ্ঠানের উপরোক্ত শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৪১২ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিটর আগে পরীক্ষর্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করে স্ব স্ব আসনে আসন গ্রহণ করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী উক্ত সময়ের পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের কোনো সুযোগ থাকবে না। এজন্য কেন্দ্রের দূরত্ব, যানজট ও পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছাতে হবে। পরীক্ষার্থীকে আসন গ্রহণের পর পরই পরীক্ষার খাতা বিতরণ করা হবে।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে শ্ক্ষিামন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রে কোনো পরীক্ষার্থী কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজ ব্যবহার বা বহন বা সঙ্গে রাখতে পারবে না। পরীক্ষার্থীরা অননুমোদিত ক্যালকুলেটরও ব্যবহার করতে পারবে না। এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত কেন্দ্র সচিব কোন ধরনের স্মার্ট ফোন ব্যবহার বা বহন করলে সাথে সাথেই তাকে বরখাস্ত করাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেন্দ্র সচিব শুধুমাত্র এনালগ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন যোগাযোগ রক্ষার জন্য।
পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসকারীদের প্রতিহতের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, সন্তানদের প্রশ্ন দিয়ে তাদের সর্বনাশ করবেন না। আপনার সন্তানের ভবিষ্যত নষ্ট না করতে পারে প্রশ্ন ফাঁসে সহযোগী দুষ্কৃতিকারীদের ধরিয়ে দেন।
প্রশ্ন ফাঁসরোধে ফেসবুক বন্ধ রাখা সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নে জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একেবারে বন্ধ রাখার কথা আমি বলিনি। তবে, ফেসবুক বন্ধ রাখার ব্যাপারে বিটিআরসি’র সাথে কথা বলা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছেন এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ তারা নেবেন।
সীমিত সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ রাখবেন কি না, সেটাও তাঁরা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। তারা সাহায্য করার বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। স্থায়ীভাবে কোচিং সেন্টার বন্ধের জন্যও আইন করা হচ্ছে।
প্রধান কার্যালয়: শিমুল লজ, ১২/চ/এ/২/৪ (২য় তলা), রোড নং ৪, শেরেবাংলা নগর,শ্যামলী,ঢাকা.
বার্তা বিভাগ-01763234375 অথবা 01673974507, ইমেইল- sangbadgallery7@gmail.com
আঞ্চলিক কার্যালয়: বঙ্গবন্ধু সড়ক, আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও-৫১০০
2012-2016 কপি রাইট আইন অনুযায়ী সংবাদ-গ্যালারি.কম এর কোন সংবাদ ছবি ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথায় প্রকাশ করা আইনত অপরাধ
Development by: webnewsdesign.com