রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় যুবকের মৃত্যু ঘটনায় চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অবরুদ্ধ করে রেখে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় দুইঘন্টা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইসও) সাইদুর রহমান পক্ষ থেকে আজ বুধবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মৃত যুবকের নাম রকি (২০)। সে উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের কৈপুকুরিয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।

রকির মামা শফিকুল ইসলাম জানান, রাত প্রায় সাড়ে ৮ টার দিকে রকি পারিবারিক কলহের জের ধরে কৈপুকুরিয়া গ্রামের ফুলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কিটনাশক পান করে। পরে নিজেই তার মাকে ফোন করে জানায়। ফোন পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

তার অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আধাঁ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও চিকিৎসক রোগির কাছে আসেনি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত দু’জন কর্মচারি রকিকে দড়ি দিয়ে বাঁধে। দড়ি দিয়ে বাঁধা দেখে মনে হচ্ছিলো তারা গরু জবাই করছেন এমন সময় খিচুনি উঠলে হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এসে বলে রোগির অবস্থা ভালো নেই। এর কিছুক্ষণ পর রকির মৃত্যুর সংবাদ দেন তারা।

হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কহিনুর খাতুন বলেন, রোগিকে নিয়ে আসার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমি গিয়ে দেখি তার অবস্থা গুরুতর। তার চিকিৎসা চলার সময় রোগির মৃত্যু হয়। তাছাড়া রোগিকে হাসপাতালে নিতে দেরি হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইসও) সাইদুর রহমান বলেন, রোগির স্বজনরা চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। তাদের গায়ে হাত তুলেছেন। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোগির মৃত্যুতে চিকিৎসকের অবহেলা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, হাসপাতারে উত্তেজনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে রোগির স্বজনদের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments