মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রবেশ হঠাৎ করেই বেড়েছে। গতকাল শনিবার কক্সবাজারের টেকনাফে এসেছে নতুন করে ১৯২ রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষ।
জানতে চাইলে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী ত্রাণকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলো কে বলেন, ওপারে মিয়ানমারের মংডু শহরের দংখালী এলাকায় এখনো ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে। হামলার মুখে তারা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ওই স্থানে অবস্থান নেয়। ওই মানুষগুলো তাঁবু টেনে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সেখানে খাবার সামগ্রী ও খাবার পানির প্রকট সংকট চলছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এ কারণে বাংলাদেশে ঢুকতে মরিয়া এই রোহিঙ্গারা। গতকাল নতুন আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি এ বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
হারিয়াখালী ত্রাণকেন্দ্র সূত্র বলছে, গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত নতুন করে আসা ১৯২ রোহিঙ্গা ৬২টি পরিবারের সদস্য।
নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফে আসার পর এই রোহিঙ্গাদের প্রথমে সেনাবাহিনীর হারিয়াখালী ত্রাণকেন্দ্রে নেওয়া হয়। এরপর মানবিক সহায়তা ও প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, সুজি, চিনি, তেল, লবণের একটি করে বস্তা দিয়ে গাড়িযোগে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ ইউএনও মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকী বলেন, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতার স্মারক সই হয়।
এরপরও রোহিঙ্গাদের আসা অব্যাহত থাকলেও প্রথম দিকের মতো ঢল ছিল না। থেমে থেমে কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এক দিনে ১৯২ জন রোহিঙ্গা আসায় উদ্বেগ কিছুটা বেড়েছে।
প্রধান কার্যালয়: শিমুল লজ, ১২/চ/এ/২/৪ (২য় তলা), রোড নং ৪, শেরেবাংলা নগর,শ্যামলী,ঢাকা.
বার্তা বিভাগ-01763234375 অথবা 01673974507, ইমেইল- sangbadgallery7@gmail.com
আঞ্চলিক কার্যালয়: বঙ্গবন্ধু সড়ক, আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও-৫১০০
2012-2016 কপি রাইট আইন অনুযায়ী সংবাদ-গ্যালারি.কম এর কোন সংবাদ ছবি ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথায় প্রকাশ করা আইনত অপরাধ
Development by: webnewsdesign.com