শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) বিএসসিতে ভর্তির ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যদের চিঠি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
চিঠিতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে সরকারি/প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়/প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থাকলে অধিকসংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবে।
শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াস, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বলেন, এটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি, তা হলে তাদের (ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী) কেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় বাধা থাকবে।
তিনি বলেন, সরকারের ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে উল্লেখ আছে, কারিগরি ডিপ্লোমা পর্যায়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে যোগ্যতা যাচাই করে ক্রেডিট সমন্বয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্নাতক পর্যায়ের উচ্চশিক্ষা কোর্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু মাত্র কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সুযোগ আছে। এটি নিয়েও একটা টেকনিক্যাল ত্রুটি আছে। সেটি হচ্ছে, ডিপ্লোমাধারীরা ৪ বছরের কোর্স সম্পন্ন করেছে। এর পর আবার বিএসসি করতেও যদি ৪ বছর লাগে তা হলে তার দুই ডিগ্রি শেষ করতে ৮ বছর ব্যয় হচ্ছে। এ জন্য তাদের ক্রেডিট ওয়েবার দেওয়া দরকার।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (ডুয়েট), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটি, বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে খুব সীমিতসংখ্যক ডিপ্লোমাধারী বিএসসি সম্পন্ন করার সুযোগ পায়। অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সুযোগ নেই। এর বাইরে কিছু প্রাইভেট ভার্সিটি রয়েছে, যেখানে ৩ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি। এর সংখ্যাও খুব কম। আবার অনেক প্রাইভেট ভার্সিটি রয়েছে যেখানে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রেডিট কম। ভার্সিটিগুলোয় এ ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী নেবে; কিন্তু তা ৪ বছর মেয়াদি এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই ব্যাচে। আবার আইইবি অন্তর্ভুক্ত ভার্সিটিগুলোয় ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে; কিন্তু তারা এ ক্ষেত্রে কোনো ক্রেডিট ছাড় পাবে না এবং কোর্স সময়সীমা ৪ বছর। এইচএসসি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই ব্যাচে ক্লাস করতে হয়।
কয়েক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংকে অবশ্যই ডিগ্রি/অনার্সের (ইঞ্জিনিয়ারিং) মান দেওয়ার দাবি তাদের। তারা বলেন, এইচএসসি শিক্ষার্থী মাত্র ১০ থেকে ১৫টি বই পড়ে ২ বছরে। আর একজন পলিটেকনিক শিক্ষার্থী ৪ বছর ৬০ থেকে ৬৫টি বই পড়ে। এসএসসি পাস করার পর একজন শিক্ষার্থীর অনার্স পাস করতে সময় লাগে, এইচএসসি ২ বছর আর অনার্স ৪ বছর মিলে ৬ বছর। অনার্স পাস করার পর একজন শিক্ষার্থী ১ বছর মেয়াদি এমএ, এমকম, এমএসসি (মাস্টার্স) কোর্সে ভর্তি হতে পারে। একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের ডিগ্রির মানদ- কী এখনো নিরূপণ করা হয়নি বলেই উচ্চশিক্ষায় তাদের নানাবিধ সমস্যার উদ্ভব হয়।
প্রধান কার্যালয়: শিমুল লজ, ১২/চ/এ/২/৪ (২য় তলা), রোড নং ৪, শেরেবাংলা নগর,শ্যামলী,ঢাকা.
বার্তা বিভাগ-01763234375 অথবা 01673974507, ইমেইল- sangbadgallery7@gmail.com
আঞ্চলিক কার্যালয়: বঙ্গবন্ধু সড়ক, আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও-৫১০০
2012-2016 কপি রাইট আইন অনুযায়ী সংবাদ-গ্যালারি.কম এর কোন সংবাদ ছবি ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথায় প্রকাশ করা আইনত অপরাধ
Development by: webnewsdesign.com