পঞ্চগড়ের

দেবীগঞ্জে ফিল্মি কায়দায় দম্পতিকে অপহরণ এবং জোর করে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ…

বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ৭:৩৮ অপরাহ্ণ |

দেবীগঞ্জে ফিল্মি কায়দায় দম্পতিকে অপহরণ এবং জোর করে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ…
প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য ও ছবিতে ডেক্স রিপোর্ট

পঞ্চগড়ে ফিল্মি কায়দায় নবদ্বীপ কুমার রায় ও বিউটি রানী দম্পতিকে অপহরণ করার পর তাদের আলাদা করে নবদ্বীপকে জোর করে সীমা রায় নামে এক মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তিন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে।

অভিযোগের তীর দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার, দন্ডপাল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মশিউর, মাসুদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ভাই রকির দিকে।


নবদ্বীপের পরিবার জানায়, নবদ্বীপ একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। সোমবার (১২ই ডিসেম্বর) তিনি কোম্পানির বার্ষিক কনফারেন্সে যোগদানের উদ্দেশ্যে স্ত্রী বিউটি রানী রায়ের সাথে যায় কক্সবাজার। পরদিন মঙ্গলবার (১৩ই ডিসেম্বর) দুপুরে কনফারেন্স শেষে রাতে কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা ছিল নবদ্বীপ দম্পতির। তবে একই দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা কক্সবাজারে নবদ্বীপের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। পরে নবদ্বীপ ও তার স্ত্রী বিউটির মোবাইল ফোন দুইটি ইউপি সদস্য মশিউর কেড়ে নিয়ে সুইচ অফ কর রাখেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা না নিয়ে তাদের জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেন।

বুধবার (১৪ই ডিসেম্বর) তাদের বেলা ১২টায় মাইক্রোবাসে নীলফামারীর ডোমার এশিয়ান হাইওয়ের রেলক্রসিং এলাকায় এনে বিউটি ও নবদ্বীপকে আলাদা করে পৃথক স্থানে আটকে রাখেন সীমার স্বজনরা।


বৃহস্পতিবার (১৫ই ডিসেম্বর) সকালে নবদ্বীপকে সদর ইউনিয়নের বৈরাগী পাড়ায় সীমার নিজ বাসায় এনে মারধর করে অ্যাফিডেভিটে স্বাক্ষর নেওয়া হয় এবং জোরপূর্বক সীমার সাথে বিয়ে দেওয়া হয়।

পরে খবর পেয়ে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ নবদ্বীপকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে পুলিশ বিউটিকে ফেরত দেবার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ভাইস চেয়ারম্যান রিতু লোক মারফত তাকে তার পৈতৃক বাড়ীতে পৌঁছায় দেয়। পুলিশ বিউটির বাড়ীতে পৌঁছানোর অপেক্ষা করেন এবং মুঠোফোনে নিশ্চিত হবার পর ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসেন।


সীমা রায় বলেন, নবদ্বীপের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে সে আমাকে না জানিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করলে আমি বিয়ের দাবিতে তার বাসায় গিয়ে ২৪ দিন অবস্থান করে বুধবার দিবাগত রাতে পরিবারের সদস্যদের সাথে বাসায় ফিরে আসি।

নবদ্বীপ বলেন, সীমার সাথে আজ থেকে তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। সম্প্রতি সে আমার বিয়ে অন্য জায়গায় ঠিক হওয়ার কথা শুনে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। বিউটির সাথে আমার বিয়ে হয়েছে এটা জেনেও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে অপহরণ করে সীমার স্বজনরা আমাকে মারধর করে তার সাথে আমার বিয়ে দেয়। আমি এই বিয়ে মানি না এবং এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

এদিকে বুধবার দিবাগত রাতে সীমা তার ভাই উজ্বল রায়, মামা ধরনী রায়, সদরের ইউপি সদস্য ভরত চন্দ্র রায়ের সাথে নিজ বাসায় ফিরে যায়। তবে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালেই সীমা ও নবদ্বীপের বিয়ে দেওয়া হয়।

ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার বলেন, নবদ্বীপকে বার বার ডাকার পরেও যখন সে আসেনি তখন মেম্বারদের সাথে নিয়ে তিনি নবদ্বীপকে আনতে গিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, নবদ্বীপ ও সীমার চলমান বিষয়টির তিনি মীমাংসা করতে চেয়েছিলেন।

দেবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রঞ্জু আহাম্মেদ বলেন, সকালে খবর পেয়ে নবদ্বীপকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। কোন পক্ষ থেকে এখনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ দেওয়া হলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments

প্রধান কার্যালয়: শিমুল লজ, ১২/চ/এ/২/৪ (২য় তলা), রোড নং ৪, শেরেবাংলা নগর,শ্যামলী,ঢাকা‌.
বার্তা বিভাগ-01763234375 অথবা 01673974507, ইমেইল- sangbadgallery7@gmail.com

আঞ্চলিক কার্যালয়: বঙ্গবন্ধু সড়ক, আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও-৫১০০

2012-2016 কপি রাইট আইন অনুযায়ী সংবাদ-গ্যালারি.কম এর কোন সংবাদ ছবি ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথায় প্রকাশ করা আইনত অপরাধ

Development by: webnewsdesign.com