নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় এক এতিম স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার মেয়েটি মাঠে ঘাস কাটতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন ওই ছাত্রীর খালাতো বোন ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে এ ঘটনার পর ধর্ষক পালিয়ে যায়।

মামলার এজাহারে জানা যায়, গত সোমবার বেলা ২টায় এতিম অসহায় বাসুদেবপুর স্কুলের ১০ শ্রেণির ওই ছাত্রী মাঠে ঘাস কাটতে গেলে একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে সারোয়ার হোসেন (১৯) জোরপূর্বক মাঠের মধ্যে তার মুখ বেধে তাকে ধর্ষণ করে।

এজাহারে আরো জানা যায়, ধর্ষিতার বাবার বাড়ি নিয়ামতপুর উপজেলার নেহেন্দা গ্রামে। ২ বছর আগে তার বাবা মৃত্যুবরণ করেন এবং এর ১ বছর পর মা মারা যাওয়ায় নিরূপায় হয়ে উপজেলার অমৃতপুর গ্রামে খালুর বাড়িতে থাকে সে। মেয়েটি খালার বাড়ি থেকে বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। ধর্ষক সারোয়ার হোসেন স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রায় ৬ মাস যাবত ধর্ষিতাকে বিভিন্নভাবে উক্ত্যক্ত করতো ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মেয়েটি গত সোমবার বেলা ২টায় মাঠে ঘাস কাটতে গেলে জোরপূর্বক তার মুখে কাপড় বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষিতার চিৎকারে প্রতিবেশী এগিয়ে আসলে ধর্ষক সারোয়ার পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আসামি পলাতক রয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলানো হচ্ছে। যেকোনো মূহুর্তে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।

আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments