শনিবার ২৩ ডিসেম্বর ক্লাবের ভোট গ্রহণ চলছে। ১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউরোপিয়ান ক্লাব পরবর্তী সময়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড হয়।
বর্তমানে এখানকার সদস্যসংখ্যা ১ হাজার ৪০০। ক্লাবের বর্তমান সভাপতি তানভীর আহমেদ টিটু হলেন এমপি শামীম ওসমানের শ্যালক।
সিনিয়র সাংবাদিক সুভাষ সাহার ফেসবুক পেজ থেকে জানা গেছে, ১২৪ বছরের পুরনো ‘ইউরোপিয়ান ক্লাব’ কালের বিবর্তনে স্বাধীন বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের প্রথম বাঙালি সভাপতি এম এ সাত্তার (১৯৬৭-৭৭), তারপর এএইচ মাহমুদ (১৯৭৮-৮০), এমএইচ জামাল (হাসান জামাল ১৯৮১-৮২), সুলতানউদ্দিন ভুঁইয়া (১৯৮৫-৮৭), শাহ্ আলম চৌধুরী (১৯৮৮), আবদুর রাশেদ রাশু (১৯৮৮-১৯৯৩ সর্বাধিক সময়), হাবিবুর রহমান (১৯৯৪-৯৫), আবদুর রাশেদ রাশু (১৯৯৬-৯৭),
নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড রূপান্তরিত হওয়ার পর প্রথম সভাপতি আবদুর রাশেদ রাশু (১৯৯৮), খবির আহমেদ (১৯৯৯-২০০০), আজমল হোসেন (২০০২), এম এ রহমান (২০০৩-২০০৪), মনির হোসেন (২০০৫-২০০৬), আনোয়ার হোসেন আনু (২০০৭), কাশেম জামাল (২০০৮-২০০৯), একেএম সেলিম ওসমান (২০১০-১১), মাহমুদ হোসেন (২০১২), এম সোলায়মান (২০১৩-১৪), মাহমুদ হোসেন (২০১৫-১৬), তানভীর আহমেদ টিটু (২০১৭)।
পরিসংখ্যানে দেখা যায় ঐতিহ্যবাহী ‘নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের, সভাপতি হিসেবে সর্বাধিক সময় শাসন করেছেন বৃহত্তর দেওভোগ অঞ্চলের সন্তান আবদুর রাশেদ রাশু, মাহমুদ হোসেন ও খবির আহমেদ গং।
পরিবর্তনের হাওয়া : ঘুরেফিরে একই ঘরানার কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে একাট্টা হওয়ার সূচনাকাল ২০০৭ সাল। প্রার্থী আকালের সুযোগে ২০০৭ সালে আবারো সভাপতি পদপ্রার্থী হন আবদুর রাশেদ রাশু। দীর্ঘকাল পর ভোটারদের মধ্যে পরিবর্তনের গুঞ্জন- কে হবেন প্রতিদ্ব›দ্বী সভাপতি প্রার্থী? একটা সময় প্রভাবশালী প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী পাওয়া যেত না! এ সুযোগটা কাজে লাগান জামতলার স্বল্প পরিচিত মুখ আনোয়ার হোসেন আনু। ভোটাররা অনেকদিন ধরে একজন বিকল্প প্রার্থীর অপেক্ষায় ছিলেন।
চরম উত্তেজনাপূর্ণ নির্বাচনে আবদুর রাশেদ অবশ্য মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে হারেন আনোয়ার হোসেন আনুর সঙ্গে।
২০০৮-৯ সালে কাশেম জামাল সভাপতি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলে ভোটাররা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। তখন আনোয়ার হোসেন আনুর সভাপতির খায়েশ পুরন হয় নি। তিনি আবারো প্রার্থী হলেন জয়ীও হলেন। পরপর দুই টার্ম নির্বাচিত সভাপতি কাশেম জামাল ক্লাবের প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও নান্দনিক উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করেন।
আগে পরে আরো যাঁদের অবদান অনস্বীকার্য তাঁদের অন্যতম একে এম সেলিম ওসমান। সেলিম ওসমানের দৃঢ় নেতৃত্বে ক্লাবের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন সাধিত হয়। উল্লেখ্য, একেএম সেলিম ওসমান ২০১০-২০১১ দুই টার্ম সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তানভীর আহমেদ টিটু ২০১৭ সালে অনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান। গত পাঁচ বছর বিনা নির্বাচনে পরিচালনা কমিটি গঠিত হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে ছিল হতাশা। অবশেষে নির্বাচন সংস্কৃতিতে ফিরে আসায় ভোটাররা যারপরনাই খুশী।
প্রর্থী বাছাইয়ে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। আগামীতে নির্বাচনী ইশতেহারের দাবী উঠেছে। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে সভাপতি প্রার্থীদের অঙ্গীকারগুলো ভোটারদের সামনে তুলে ধারার কথা উচ্চারিত হচ্ছে। ভোটারদের মুখোমুখি হয়ে কৈফিয়তের ব্যবস্থা চালু করার দাবী উঠেছে। এতে করে পরিশীলিত নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির পথ সুগম হবে।
প্রধান কার্যালয়: শিমুল লজ, ১২/চ/এ/২/৪ (২য় তলা), রোড নং ৪, শেরেবাংলা নগর,শ্যামলী,ঢাকা.
বার্তা বিভাগ-01763234375 অথবা 01673974507, ইমেইল- sangbadgallery7@gmail.com
আঞ্চলিক কার্যালয়: বঙ্গবন্ধু সড়ক, আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও-৫১০০
2012-2016 কপি রাইট আইন অনুযায়ী সংবাদ-গ্যালারি.কম এর কোন সংবাদ ছবি ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথায় প্রকাশ করা আইনত অপরাধ
Development by: webnewsdesign.com