পাচারকালে ১২০০ লিটার হাঙ্গরের তেল ও এক লাখ বাগদা রেনুসহ পাঁচ জেলেকে আটক করেছেন বরগুনার  পাথরঘাটা কোস্টগার্ড সদস্যরা। আটক জেলেদের বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ও লালুয়া ইউনিয়নে।

গতকাল রবিবার রাত ১২টার দিকে সানজিদা পরিবহনের  একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে খুলনার উদ্দেশে পাচারকালে কোস্টগার্ড সদস্যরা ছয়টি ড্রামবোঝাই হাঙ্গরের তেল ও বাগদা পোনাসহ জেলেদের আটক করেন। আজ সোমবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদেরকে হাজির করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির পাঁচ জেলেকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করেন। আটক নৌকাটি আজ সোমবার সকালে চার লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজাহারুল ইসলাম, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরা।

আটক জেলেরা হলেন মো. কামাল শরীফ (৩৫), মো. খোকন কাজী (৪৫)। এদের বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের মেহেরপুর ও আসলতখা গ্রামে এবং তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামের জেলে মো. মোকলেছুর রহমান (৪৫), কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি গ্রামের জেলে মো. জালাল তালুকদার (৩৫) এবং  আঃ ছত্তার হাওলাদার (২৫)। তাদের বাড়ি লালুয়া ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামে।

কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নে আটক ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত দুই জেলে বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মীর তারিকুজ্জামান তারা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কোস্টগার্ডের হাতে আটক জেলে মো. জালাল তালুকদার এবং আ. ছত্তার হাওলাদাকে আমি চিনি। তারা জেলে শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষ। তারা পাচার কিংবা অন্যান্য কোনো  অপরাধের সঙ্গে যুক্ত না। তবে শ্রমিক হিসেবে কারো সঙ্গে কাজে যাওয়ার ফলে ঘটনাক্রমে ফেঁসে যেতে পারের  বলে আমার মনে হচ্ছে।’

পাথরঘাটা কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে, হাঙ্গরের তেল ও পোনাবোঝাই নৌকাটি বিষখালী নদী থেকে চরদোয়ানি খাল অতিক্রম করে বলেশ্বর নদীতে যাওয়ার সময়  কোস্টগার্ডের সন্দেহ হলে এর গতি রোধ করা হয়। এ সময় মাটির পাত্রে রাখা প্রায় এক লাখ বাগদা রেনু ও ছয়টি ড্রামে হাঙ্গরের তেল উদ্ধার করা হয়। উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে হাঙ্গরের তেল মাটি চাপা দিয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং পোনাগুলো বিষখালী নদীতে অবমুক্ত করা হয়।