পানি বাড়ছে বাঘার, পদ্মায় আতঙ্কিত চরের মানুষ

রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮ | ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ |

পানি বাড়ছে বাঘার, পদ্মায় আতঙ্কিত চরের মানুষ
পদ্মায় আতঙ্কিত চরের মানুষ

রাজশাহী প্রতিনিধি: পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন বাঘার চরের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙন কবলিত ও সহায়সম্বলহীন মানুষরাই চরে অবস্থান করে। কিছু চরে স্থায়ী জনবসতি গড়ে উঠেছে। আবার কিছু চরে অস্থায়ী বসতি রয়েছে।

বন্যা ও বর্ষা মৌসুমে জোয়ার-ভাটায় পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ফলে ওই সব চরে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করা সম্ভব হয় না। তবুও তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চরে বসবাস করছে। তাদের যাওয়ার জায়গা নেই। চরে ফসল, সম্পদ ও জনবসতি রক্ষার জন্য কোন বাঁধ নেই। এসব চরে জনবসতি বেশি এবং বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ হয়ে থাকে। কোনো চরে ভরা জোয়ারের পানির প্লাাবন থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা নেই। ওই সব চরে ফসল উৎপাদনের বিষয়টি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। চর এলাকার মানুষেরা প্রকৃতির সঙ্গে যেমনি মিলেমিশে বসবাস করছে, তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে আছে।


চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে ১৫টি চর রয়েছে। ওইসব চরের বেশির ভাগ বাসিন্দা ভূমিহীন অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ। তারা প্রতিনিয়ত প্রকৃতির খামখেয়ালি রূপকে মেনে নিয়ে বসবাস করছে। আর এদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ কৃষি উপর জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তাদের অভিযোগ, একটি বাধের ব্যবস্থা করা ও চরের খাসজমি বন্দোবস্ত দেয়া নিয়ে অনেক অনিয়ম রয়েছে। যারা চরে বসবাস করছেন তারা বেশিরভাগ ভূমির মালিক নন।

চরবাসী মনে করেন, এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে চরের প্রভাবশালী মহল নামে-বেনামে খাসজমির বন্দোবস্ত নিয়ে যাচ্ছে অহরহ। চর এলাকায় যারা ভূমির মালিকানায় কর্তৃত্ব করেন তারা চর ছেড়ে মূল ভূখ-ে বসবাস করেন এবং অনেক ক্ষেত্রে কৃষির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল না হওয়ায় তারা চরের ভূমির স্থায়ী উন্নয়নে মনোযোগী হন না। ফলে চরে অবকাঠামোগত উন্নয়নের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক মন্থর। কোন চরে এখন পর্যন্ত কোনো আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি।


চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, গতবার যে, হারে বন্যা হয়েছিল। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে না নিতেই আবারও পদ্মায় নতুনভাবে পানি বাড়া শুরু করেছে। ফলে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।

পদ্মার চরের মধ্যে ১৫টি চর নিয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়েছে। এই চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম জানান, চরের মানুষের জন্য প্রকল্প পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে। তবে পদ্মায় নতুন পানি বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবে মানুষ আতঙ্কিত।#


আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments

প্রধান কার্যালয়: শিমুল লজ, ১২/চ/এ/২/৪ (২য় তলা), রোড নং ৪, শেরেবাংলা নগর,শ্যামলী,ঢাকা‌.
বার্তা বিভাগ-01763234375 অথবা 01673974507, ইমেইল- sangbadgallery7@gmail.com

আঞ্চলিক কার্যালয়: বঙ্গবন্ধু সড়ক, আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও-৫১০০

2012-2016 কপি রাইট আইন অনুযায়ী সংবাদ-গ্যালারি.কম এর কোন সংবাদ ছবি ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথায় প্রকাশ করা আইনত অপরাধ

Development by: webnewsdesign.com