বুধবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৮ |
৮:১৫ পূর্বাহ্ণ |
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী নিজ কক্ষে আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম সামেয় খান, তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দ
থানায়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে অাট টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী শেখপাড়া বাজারের একটি বাসায় নিচ তলায় ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে শৈলকুপা থানা পুলিশ।
জানা যায়, সায়েম খান নিজ কক্ষেই একাই থাকতেন। প্রতিদিনের মত মঙ্গলবারও সে ক্লাসে গিয়েছিলো, বন্ধুদের সাথে কথা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও বৈশাখী মেলায় ও হাসি খুশি দেখা গিয়েছে। তার পাশের রুমমেট বিকাল ৫ দিকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া পায়নি, পরে সন্ধ্যায় ডাকাডাকির পরও কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি, তখন সে দরজার নিচ দিয়ে উকি দিলে মেঝেতে পা ঝঁলতে দেখে।
পরে সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করে সে।
তাৎক্ষনিক ভাবে খবরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমানকে জানানো হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান ও শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেনের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করলে ফ্যানের সাথে ঝুলানো সায়েমের লাশ দেখতে পাওয়া যায়। এসময় তার বিছানার উপর পড়ে থাকা ডায়েরিতে তিন পাতার চিরকুট পাওয়া যায়।
ওই ডায়রিতে লেখা চিরকুট দেখে প্রেমঘটিত কারণে সায়েম আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সায়েম খানের ঠ
ফেজবুকে দেখা যায় একটি মেয়ে ছবি দিয়ে তার কভার ফটো।
এবিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবার রহমান বলেন, অকালে একটি তাজা প্রাণ ঝঁড়ে গেলো,মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে, বিষয়টি শিক্ষার্থী পরিবারকে জানানো হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন এ বিষয়ে বলেন,খবর পেয়ে অামি দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে অাসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে রুমের দরজা ভেঙ্গে সায়েমের কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করা হয়েছে, দরজা ভাঙ্গার পর তার লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলতে থাকতে দেখি, প্রথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে হতাশা বা প্রেমঘটিত করনে এমনটি হতে পারে। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা
comments