বড়দিন-২৫ ডিসেম্বর,কেক কেটে খ্রিষ্টান নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বেগম জিয়া

রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ | ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ |

বড়দিন-২৫ ডিসেম্বর,কেক কেটে খ্রিষ্টান নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বেগম জিয়া
শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদেরকে ‘বড়দিন’ এর কেক কাটলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় উৎসবকে সামনে রেখে বাংলাদেশে এই ধর্মাবলম্বীদের একটি প্রতিনিধি দল বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে তিনি এই কেক কাটেন।
শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বড়দিন ও নববর্ষে আমরা প্রত্যাশা করবো আগামী বছরে গণতন্ত্র ফিরবে, শান্তি ফিরে আসবে।
সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘এই দেশ আমাদের সকলের। সকলে মিলে দেশটাকে গড়ব। সকলে মিলে কাজ করলে অনেক সুন্দর করতে পারব।
দেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তি চায় মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, কিন্তু সে শান্তি আজ দেশে নেই। তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রও নাই; শান্তিও নাই।
বর্তমান সরকার দেশে অত্যাচার চালাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি নেত্রী বলেন, নতুন বছর ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যায় অত্যাচার থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়।
দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও তাদের ওপর বিভিন্ন সময় হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন খালেদা জিয়া। বলেন, নিজেরা নানা ঘটনা ঘটিয়ে তারা বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
‘গাইবান্ধায় সরকারি দলের লোকেরা হিন্দু সম্প্রদায় লোকদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়েছে। এ রকম বহু ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা। আর দোষ দেয় বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর।’
সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানান খালেদা জিয়া।

বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারিতে কোন নির্বাচন হয়নি। ১৫৪ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। বাকীরাও ভোটে ভোটে নির্বাচিত হয় নাই। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে কুকুর ঘোরাফেরা করছে।
সরকার অন্যায় অত্যাচার করে বিএনপিকে দুর্বল করতে চায়- এমন অভিযোগও করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, ‘আমি যেদিন আদালতে যাই সেসময় আমার সাথে ছেলেমেয়েরা থাকে। তাদের উপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হামলা করে, গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তারপরে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নেয়।
আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া। বলেন, ‘যুব সমাজকে আওয়ামী লীগের লোকেরা মাদক দেয়। এদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করে না, আর বিচারও হয় না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যালবার্ট পি কস্তা, খিষ্ট্রান সম্প্রদায়ের নেতা সুব্রত রোজারিও, অধ্যাপক মার্শেল এন ফিরান, সঞ্জিব হাওলাদার, বিএনপির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জন গমেজ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments

প্রধান কার্যালয়: শিমুল লজ, ১২/চ/এ/২/৪ (২য় তলা), রোড নং ৪, শেরেবাংলা নগর,শ্যামলী,ঢাকা‌.
বার্তা বিভাগ-01763234375 অথবা 01673974507, ইমেইল- sangbadgallery7@gmail.com

আঞ্চলিক কার্যালয়: বঙ্গবন্ধু সড়ক, আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও-৫১০০

2012-2016 কপি রাইট আইন অনুযায়ী সংবাদ-গ্যালারি.কম এর কোন সংবাদ ছবি ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথায় প্রকাশ করা আইনত অপরাধ

Development by: webnewsdesign.com