ভিজিট ৪০০ টাকা, কষ্ট হলে না দিলেও চলবে’

মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ৫:১০ অপরাহ্ণ |

ভিজিট ৪০০ টাকা, কষ্ট হলে না দিলেও চলবে’
প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান চেম্বারের একটি টেবিল বোর্ড।

ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান। রাজধানীর ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দি বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং কোরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তিনি ল্যাপারোসকপিক যন্ত্রের দ্বারা পিত্তথলি পাথর অপারেশনের অভিজ্ঞ সার্জন।

ভিজিট ৪০০ টাকা, কষ্ট হলে না দিলেও চলবে’। শিরোনাম দেখে চমকে ওঠার কারণ নেই। যারা মনে করেন ডাক্তার দেখালেই হাজার টাকার মামলা, তাঁদের এই ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দেবে প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান চেম্বারের একটি টেবিল বোর্ড।


ডা. মো. মতিয়ার রহমান চেম্বারে ঢুকলে দেখা যাবে ডেস্কে নীল বোর্ডের ওপর সাদা হরফে লেখা ‘ভিজিট ৪০০ টাকা, কষ্ট হলে না দিলেও চলবে।’
গতকাল রাত থেকে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেল ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আর ছবির সাথে জুড়ে দিয়েছেন তাঁর নতুন এই অভিজ্ঞতার কথা।
মিজানুর লিখেছেন, ‘মায়ের পিত্তথলিতে পাথর। কিডনি ডাক্তার মতিয়ার রহমানকে দেখানোর জন্য প্রায় দেড়মাস আগে সিরিয়াল দিয়ে আজ দেখাতে আসলাম। তবে ডাক্তার চেম্বারে ঢুকেই লেখাটি দেখে ভাল লাগলো। বাকিটা আল্লাহ্ ভরসা।’
এরপরই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই মন্তব্য করেন, ‘এমন ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলে রোগি অর্ধেক এম্নিতেই সুস্থ হয়ে যাবে।’
জানা গেছে, ডা. মতিয়ার রহমান খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরজি-ডুমুরিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালে যথাক্রমে ডুমুরিয়া হাই স্কুল ও খুলনাস্থ দৌলতপুর সরকারি বিএম কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।
সরকারি চাকরিতে যোগদানের পর ১৯৭৯ সালে ইরাক চলে যান তিনি এবং ইরাকের জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চার বছর চাকরি করেন। এরপর তিনি উচ্চশিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যান এবং ১৯৮৬ সালে গ্লাসগো রয়েল কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এন্ড সার্জনস থেকে সার্জারিতে এফআরসিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ইংল্যান্ডে রেসিডেন্ট পারমিট থাকলেও ১৯৮৭ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
১৯৮৮ সালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনিস্টিটিউট হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট হিসেবে যোগদান করেন।
ইতোপূর্বে মিজানুরের অভিজ্ঞতার সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে যুক্ত হয়েছে অনেকের অভিজ্ঞতা। সবার অভিজ্ঞতাই ইতিবাচক। অনেকেই বলছেন এমন ডাক্তারে আমাদের দেশ ভরে উঠুক, তাহলে এদেশটা সত্যিকারের সোনার দেশে পরিণত হবে।


আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments

প্রধান কার্যালয়: শিমুল লজ, ১২/চ/এ/২/৪ (২য় তলা), রোড নং ৪, শেরেবাংলা নগর,শ্যামলী,ঢাকা‌.
বার্তা বিভাগ-01763234375 অথবা 01673974507, ইমেইল- sangbadgallery7@gmail.com

আঞ্চলিক কার্যালয়: বঙ্গবন্ধু সড়ক, আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও-৫১০০

2012-2016 কপি রাইট আইন অনুযায়ী সংবাদ-গ্যালারি.কম এর কোন সংবাদ ছবি ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথায় প্রকাশ করা আইনত অপরাধ

Development by: webnewsdesign.com