বর্তমান সমাজে মেয়েরা কোথায় নিরাপদ? শুধু ঘর-বাড়ি রাস্তাঘাট কিংবা কর্মক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। অনিরাপদ হয়ে পড়েছে মেয়েরা। সাইবার অপরাধের প্রধান শিকার তারা। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও তা প্রমাণিত হয়ে চলেছে। নিজস্ব ছবি পোস্ট করার কারণে কিংবা বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে ব্লাকমেইল ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম, হোয়াটস্অ্যাপ, ভাইবার ও ইমো ব্যবহারকারী মেয়েরা।

আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষই মেয়েদের হেয় প্রতিপন্ন করতে পারলেই যেন শান্তি পায়! আর সে সুযোগটা যদি এমনিতেই পাওয়া যায় তাহলে তো আর কোনো কথাই থাকে না। কিভাবে মেয়েরা তাদেরকে সুযোগ করে দিচ্ছে? কিভাবে তারা সুযোগ পাচ্ছে? একমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সাহায্যে তা সহজ হয়ে যাচ্ছে। মেয়েরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অনিরাপত্তার শিকার।

এ পরিস্থিতি রোধ করতে মেয়েদের সাবধানতার বিকল্প নেই। বর্তমান যুগ প্রযুক্তিনির্ভরশীল যুগ। মেয়ের পোশাক পরা ছবিটি ফটোশপের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে নগ্ন করা যায়। আর সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে সর্বত্র। তাই মেয়েদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবি দেওয়ার আগে সতর্ক হওয়া অত্যাবশ্যক। স্ন্যাপ চ্যাট, ইনস্ট্রাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটারে এখন তরুণ-তরুণীদের অবাধ বিচরণ। তাই সাবধান হওয়াটা জরুরি। একটু সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে ছবি আপলোড করতে হবে।

কিন্তু প্রশ্ন থেকেই গেল! মেয়েরা আসলে কোথায় নিরাপদবোধ করবে? কেন তারা নিজের ছবি আপলোড করতে সংকোচবোধ করবে? কেন তাদেরকে হয়রানির শিকার হতে হবে? আর কত মেয়ে হয়রানির শিকার হয়ে প্রাণ দিতে বাধ্য হবে? কবে মানুষ্যত্ব্ববোধ আমাদের মধ্যে জাগ্রত হবে?

আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments