যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অ্যাকশন!
শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি ২০১৮ |
৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ |
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ‘ইন্সটিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইন ইসলামাবাদ’- এ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররাম জানিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রকে এতদিন ধরে দিয়ে আসা সামরিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা বন্ধ করেছে পাকিস্তান। আর এখন যাবতীয় হিসাব-নিকাশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুস্পষ্টভাবে কথাবার্তা সেরে নেয়ার সময় এসেছে।
পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে ট্রাম্পের অভিযোগের জবাবে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররাম বলেন, আফগানিস্তানে গত ১৫ বছর ধরে যুদ্ধ করেও আমেরিকা জয়ী হতে পারেনি। পাক-আফগান সীমান্ত নিরাপদ করতে সহায়তা না করে তারা কেবল পাকিস্তানকে দোষারোপ করতেই ব্যস্ত। ব্যর্থতার দায় তারা পাকিস্তানের ওপর চাপাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ১ জানুয়ারি টুইট বার্তায় পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা’ অভিযোগ করে বলেন, ৩৩০০ কোটির বেশি মার্কিন ডলার অনুদান নিয়েও ইসলামাবাদ জঙ্গি দমনে পদক্ষেপ নেয়নি। এ কারণে সামরিক এবং নিরাপত্তা খাতে পাকিস্তানকে যে অনুদান বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র দিয়ে এসেছে তা বন্ধের ঘোষণা দেন ট্রাস্প। আর এর পরপরই ২০০ কোটি ডলারের অনুদান আটকে দেয়া হয়।
এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসিও দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আফগানিস্তানে যৌথভাবে চালানো সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের ১৬ বছরে পাকিস্তানের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ১২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের ক্ষতি হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাসের বক্তব্য: ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাস পাকিস্তানের সহযোগিতা বন্ধের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, ‘সামরিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে সরকারিভাবে আমাদেরকে কিছু জানানো হয়নি।’
পাকিস্তান ও কাশ্মিরে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ সতর্কতা: এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বুধবার তাদের নাগরিকদের পাকিস্তানে ভ্রমণ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। তবে ওই সতর্কবার্তায় ভারত শাসিত জম্মু কাশ্মিরেও নিরাপত্তা হুমকি রয়েছে বলে উল্লেখ করে তাদের নাগরিকদের ওই এলাকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, এসব এলাকায় সন্ত্রাসীরা টার্গেট করে বিভিন্ন পরিবহণ, মার্কেট বা শপিং মল, সামরিক ও সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, বিমানবন্দর, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, প্রার্থনাস্থল ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালাতে পারে।
সূত্র: ডন
comments