দিন গণনার অপেক্ষায় আছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। জোর কদমে চলছে রাসিক নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। রাজশাহীতে ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। ৫ জন মেয়র প্রার্থী রয়েছে এই রাসিক নির্বাচনে। আওয়ামী লীগের এ এইচ এম
খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ইসলামী আন্দোলনের শফিকুর রহমান ও স্বতন্ত্র হাবিবুর রহমান এবং মুরাদ মোর্শেদ। রাজশাহীতে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন।
এর ভিতর নতুন ভোটারদের সংখ্যা লক্ষণীয়। মোট ভোটার সংখ্যার অনেকেই তরুণ ভোটার অর্থাৎ নতুন ভোটার। জীবনের প্রথম ভোট
দেয়ার ব্যাপারে তারা বেশ উচ্ছসিত। তাদের সাথে কথা বলার মাধ্যমে জানা যায় তাদের চাওয়া-পাওয়া, কি রকম দেখতে চায় তারা আগামীর রাজশাহীকে, রাজশাহীকে কি
ভাবে আরও বেশি উন্নত করা যায়, রেশম শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করার ব্যাপারেও তারা বেশ সচেষ্ট। তরুণ প্রজন্ম এমন একজন নগরপিতা চান যারা ইশতেহার দিয়ে
হারিয়ে যাবেন না।
নতুন ভোটারদের অনেকেই জানান, রাজশাহীর সদ্য বিদায়ী মেয়র বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নির্বাচনী ইশতেহার দিলেও নির্বাচনের পর হারিয়ে যান। বুলবুলকে নির্বাচনের পর আর ইশতেহার দেয়া বুলবুলের রূপে দেখা যায়নি। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিনি নিজের আখের গুছানোতে মত্ত ছিলেন। নির্বাচনের পরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো উন্নয়ন কাজে নিজেকে জড়াননি বুলবুল। রাজশাহীর অনেক খাত অবহেলায় ছিল, দরকার ছিল উন্নয়নের- যা করার জন্যও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বুলবুল। উল্টো উন্নয়নের জন্য সরকারের বরাদ্দ করা অর্থ নিজের করে নিয়েছেন। যদিও জনগণের অর্থ নিজের করে নিলেও খুব বেশি দিন আরাম আয়েশ করে থাকতে পারেননি তিনি। কারণ নানা অপকর্ম, দুর্নীতির জন্য তার মেয়াদকালের অর্ধেক সময় তিনি পার করেছেন কারাগারে।
সবদিক বিবেচনা করে তরুণ প্রজন্ম এমন কাউকে চাচ্ছে যে ইশতেহারের সাথে, সাধারণ জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতির সাথে মিল রেখে যিনি কাজ করবেন। নতুন প্রজন্ম মনে করেন সরকারি দলের কেউ যদি জয়ী হন তাহলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। এই দিক থেকে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এগিয়ে আছে।
২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়ী না হয়েও তিনি নিজের সাধ্য মতো সমাজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এগিয়ে এসেছেন। শরিক হয়েছেন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের সাথে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে। উল্টো বুলবুল ক্ষমতায় থেকেও সিঁকিভাগ উন্নয়নে এগিয়ে আসেননি। সবদিক বিবেচনায় আওয়ামী লীগের লিটনকে এগিয়ে রাখছে নতুন ভোটাররা।
প্রধান কার্যালয়: শিমুল লজ, ১২/চ/এ/২/৪ (২য় তলা), রোড নং ৪, শেরেবাংলা নগর,শ্যামলী,ঢাকা.
বার্তা বিভাগ-01763234375 অথবা 01673974507, ইমেইল- sangbadgallery7@gmail.com
আঞ্চলিক কার্যালয়: বঙ্গবন্ধু সড়ক, আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও-৫১০০
2012-2016 কপি রাইট আইন অনুযায়ী সংবাদ-গ্যালারি.কম এর কোন সংবাদ ছবি ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথায় প্রকাশ করা আইনত অপরাধ
Development by: webnewsdesign.com