রাণীশংকৈলে ওএস রফিকের খুঁটির জোর কোথায়

বুধবার, ০৬ জুন ২০১৮ | ৪:২০ অপরাহ্ণ |

রাণীশংকৈলে ওএস রফিকের খুঁটির জোর কোথায়
ফাইল ছবি

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) সংবাদদাতা : ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সুপার (ওএস) রফিকুল আলমের খুঁটির জোর কোথায় এ নিয়ে জনমনে প্রশ্নের ঝড় উঠেছে।

বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি দপ্তরে চলছে দূর্ণীতির মহোৎসব। যার সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ওএস রফিক। তার চাকুরী জীবনের পুরো সময় রাণীশংকৈল উপজেলায় চলে গেল। তার বিরুদ্ধে দূর্ণীতির সংবাদ প্রকাশ হলে সাময়িক অন্য কোন উপজেলায় বদলী দেখিয়ে মাত্র কয়েক দিন পর আবার সে এখানে ফিরে আসে। উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সে বিভিন্ন কৌশলে কব্জায় রেখেছে। কোন কর্মকর্তা নীতিমালার বাইরে কাজ করতে না চাইলে তাকে অজ্ঞাত কারণে বদলী হয়ে অন্য কোথাও চলে যেতে হয় এমন নজির রয়েছে।


জলমহলের লিজের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোডে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। জমা দেয়ার পরের মাসে জলমহলের বিস্তারিত তথ্য সরকারকে জানাতে হয়। টাকা নির্দিষ্ট কোডে জমা না হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নামীয় ১২১ নং চলতি ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়ে থাকে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে সমন্বয় করে পরবর্তী কার্যক্রম করার নির্দেশনা রয়েছে। বিশ্বস্থ তথ্যমতে এখানেও রফিকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট সত্যতা পাওয়া গেছে। মোঃ আশরাফুল ইসলাম রাণীশংকৈল উপজেলার ইউএনও থাকা কালিন সময় থেকে এমন ঘটনা হয়ে আসছে অদ্যাবধী।

আশ্রায়ন প্রকল্প, গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প সহ উপজেলা পর্যায়ের সিংহভাগ কাজ ইউএনও’র নামে ওএস রফিক নিজেই তদারকি করে থাকে। যার ফলে কাজের মান ভাল না করে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার ফলে হাতিয়ে নেওয়া হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। উপজেলা আবাসিক কোয়াটার ভবন এলাকার সীমানা প্রাচীর নির্মান, কম্পিউটার ভবন ইত্যাদি কাজেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। ব্যাচেলর ভবন সহ এলজিএসপির বরাদ্দের বিভিন্ন কাজ নিজের তদারকিতে শুধুমাত্র লোক দেখানো কাজ করে কাজ করে হাতিয়ে নিয়েছে বরাদ্দের ৯০ ভাগ টাকা। উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সাথে তার সখ্যতা থাকায় এলজিএসপির কোন কাজ হয়না। একই কাজ বার বার অডিটে দেখানো হয়। ডাক বাংলোতে থাকা অডিটে আসা প্রতিনিধিদের সাথে রাতের বেলা ইউপি চেয়ারম্যানদের যোগাযোগ চলে অজ্ঞাত কারনে। বাস্তবে এসব কাজ না করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করা হয়।


উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ে প্রতি বছর চলে কোটি কোটি টাকার দূর্ণীতি। টিআর, খাবিকা, চল্লিশ দিনের কর্মসূচী, ব্রীজ কালভার্ট নির্মান সহ বিভিন্ন কাজে কোটি কোটি টাকার দূর্ণীতি করা হয়। ভাগ অনুযায়ী ওএস রফিকের কাছে মাসোয়ারা চলে যায়।

বর্তমানে ওএস রফিক ইট ভাটা, ট্রাক, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী, ঠিকাদারী ব্যবসার মালিক হয়েছেন। অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। সে মানুষকে মূল্যায়ন পর্যন্ত করছে না। দেশে যখন দূর্ণীতি বিরোধী অভিযান চলছে এমন সময় এধরণের দূর্ণীতিবাজদের দাপট অব্যাহত থাকে এর কারণ খুজে পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে। রফিকের অপকর্মের তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এমন দাবি সুধিমহলের।


আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments

প্রধান কার্যালয়: শিমুল লজ, ১২/চ/এ/২/৪ (২য় তলা), রোড নং ৪, শেরেবাংলা নগর,শ্যামলী,ঢাকা‌.
বার্তা বিভাগ-01763234375 অথবা 01673974507, ইমেইল- sangbadgallery7@gmail.com

আঞ্চলিক কার্যালয়: বঙ্গবন্ধু সড়ক, আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও-৫১০০

2012-2016 কপি রাইট আইন অনুযায়ী সংবাদ-গ্যালারি.কম এর কোন সংবাদ ছবি ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথায় প্রকাশ করা আইনত অপরাধ

Development by: webnewsdesign.com