রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ৪ নং লেহেম্বা ইউপির ঝাঁড়বাড়ী গ্রামের মৃত আতর আলীর ছেলে মোঃইসমাইল হোসেন (৪৫) এর নিজ বাড়িতে পবিত্র কোরআন শরীফ ছিরে এবং পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত ৬ মাস আগে ইসমাইল হোসেনের মেয়ে ইয়াসমিন তার ফুপাতো ভাইয়ের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেন।

এ নিয়ে তাদের পরিবারে মাঝে কলহের সৃষ্টি হয়।গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক ৮ টা ৩০ মিনিটে ইসমাইল বাজার থেকে বাসায় আসেন এবং তার স্ত্রী মোছা:আকলেমা বেগম (৪০) কে বলেন তার মেয়ের প্রেম,পালিয়ে বিয়ে করা সব বিষয়ে তিনি আগে থেকেই জানতেন কিন্তু তা অস্বীকার করেন আকলেমা বেগম।এ পর্যায়ে তাকে মারধর করলে চিৎকারের শব্দ শুনে একই গ্রামের নুর হোসেনের স্ত্রী তাদের বাসায় আসেন এবং দেখতে পান আকলেমা বেগম ঘর থেকে কোরআন শরীফ এনে বলেন,আমি কোরআন ছুঁয়ে বলছি আমি কিছু জানিনা।

ইসমাইল হোসেন তার স্ত্রী আকলেমা বেগমের হাত থেকে পবিত্র কোরআন নিয়ে কোরআন শরীফের কিছু অংশ ছিড়ে ফেলেন এবং কিছু অংশ পুড়িয়ে ফেলেন।এবং ছেঁড়া কিছু অংশ তার বাড়ির ২০-৩০ গজ উত্তরে গোপনে মাটিতে পুঁতে ফেলেন।পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আজ রাত ৭ টা ৩০ মিনিটে স্থানীয় মুসল্লিরা ইসমাইল হোসনের বাড়ি ঘেরাও করেন।এ পর্যায়ে ইসমাইল হোসেন পালিয়ে যান।বর্তমানে তার বাসায় কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় মুসল্লিরা তাকে গ্রেফতার ও তার শাস্তির দাবিতে মিছিল করেছেন।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ এসে মাটিতে পুঁতে রাখা কোরআান শরীফের কিছু ছেঁড়া অংশ উদ্ধার করেন। ওয়ার্ড মেম্বার মোঃইব্রাহিম বলেন আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি তার বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃআব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments