কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হামিদুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া শহরতলীর সদর উপজেলার ভাটাপাড়া এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে। পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত হামিদুল একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তিনি হামিদুল-রাশিদুল (হারা) বাহিনীর প্রধান।ঘটনাস্থল থেকে র‍্যাব অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

র‌্যাব ১২ কম্পানি কমান্ডার এম মুহাইমিনুর রশিদ বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী গড়াই নদীর পাড়সংলগ্ন বালুর মাঠে অবস্থান করছে-  এমন গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাবের একটি টহলদল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে র‌্যাব জানতে পারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি হামিদুল-রাশিদুল (হারা) বাহিনীর প্রধান শীর্ষ সন্ত্রাসী হামিদুল ইসলাম। হারা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হামিদুলের ছোট ভাই রাশিদুল ইসলাম ২০০৭ সালে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

র‌্যাব ১২ কম্পানি কমান্ডার আরো বলেন, হামিদুল পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি পিস্তল, একটি বিদেশি পিস্তুল, পাঁচ রাউন্ড গুলি এবং দুইটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।