ঢাকাসহ সারা দেশে একের পর এক ঘটছে প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনা। ভোরবেলার ফাঁকা রাস্তা কিংবা মধ্যদুপুরের ব্যস্ত সময়, ঢাকার বাসিন্দারা ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন যখন-তখন। এসব ঘটনায় সর্বস্ব খোয়ানোর পাশাপাশি হতাহতও হচ্ছেন অনেকে।

একটু সচেতন থাকলে হয়ত আমরা এমন কিছু ঘটনার হাত থেকে বাচতে পারি । ইদানীং কিছু রিক্সাচালক বের হয়েছে যারা ভাড়া নিয়ে বেশী দরদাম করবে না, অথবা দরদামের অভিনয় করে গন্তব্যস্থলে পৌছে দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যাবে।

তারপর যখন রিক্সায় উঠবেন তখন অথবা কিছুদুর যাওয়ার পর খেয়াল করলে দেখা যাবে তারা মোবাইলে কথা বলছে অথবা কন্টিনিউয়াস ইয়ারফোন ইউজ করছে।

কথার তালে তালে তারা আপনার গন্তব্যস্থল, বর্তমান অবস্থান এবং কোন রাস্তা দিয়ে যাবে তার বর্ননা দিতে থাকবে তার সঙ্গী কে। কথা বার্তার ধরন এতটাই সুক্ষ হয়, যে আপনি ধরতেই পারবেন না কি হচ্ছে। এছাড়াও রিক্সাচালকের কথা বার্তায় যাত্রী তেমন একটা মনোযোগ দেয় না।

কথার ধরন এমন হতে পারে “এইত অহন খিলগা তালতলা আছি, যামু মগবাজার ওয়ারলেস; তুই বাইর হ আমি খ্যাপ টা নামায় দিয়াই আইতাসি। না মৌচাক দিয়া যামু না রাস্তা খারাপ, ডাক্তার গল্লি দিয়া বাইর হমু।”ইত্যাদি।

এরাই আসলে ছিনতাইকারী চক্র। আর এদের প্রধান টার্গেড হল মহিলা ও কম বয়সি ছেলে-মেয়েরা। যায়গা মত নিয়ে গিয়ে এরা ঘটিয়ে ফেলতে পারে যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা। নির্জন রাস্তা, চিপা গলি আর মানুষের আনাগোনা যে সময় কম থাকে সে সময় গুলো এদের টার্গেডে থাকে।

আপনি যেদিক দিয়ে যেতে চান এরা যাবেনা, বিভিন্ন অজুহাত দেখাবে। মাঝে মাঝে এদের মধ্যে কেও কেও আপনাকে হুশিয়ারও করবে।

যেমন “ আপা ব্যাগ টা ধইরা বহেন এহানে অনেক ছিনতাই অয়” ইত্যাদি। এরা চিপা গলিতে হেটে অথবা মোটরসাইকেল ব্যাবহার করে থাকে ছিনতাই করতে।

এই পদ্ধতিতে ছিনতাই করা হয় নিরাপদে ও সহযে সুযোগ বুঝে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে বুঝে শুনে, তাদের না বুঝতে দিয়ে নেমে পড়ুন অথবা ছলেবলে দোকান থেকে কিছু কিনবেন বলে নেমে দোকানে ঢুকে পুলিশ ও কাছের আত্মীয় দের ফোন করুন।

এরকম ঘটনা সি.এন.জি তেও হতে পারে। তাই সাবধানে থাকবেন।
ভালো থাক আপনজন, পথচলা হোক নিরাপদ ও আনন্দের৷ সবাইকে সাবধান করতে নিউজটি শেয়ার করুন ।

আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments