নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া হোসেন অদিতা (১৪) হত্যা মামলায় আসামিদের পক্ষে দাঁড়াবেননা কোনো আইনজীবী।

শুক্রবার (২৩শে সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় নিহত অদিতার বাসায় পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দিতে গিয়ে এ ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা জজ আদালতের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন শাহীন।

এসময় শাহীন বলেন, আমাদের এই এলাকার মেধাবী ও সম্ভাবনাময় স্কুল ছাত্রী অদিতাকে অন্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এবং ঠান্ডা মাথায় তাকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করেছে। হত্যা ঘটনা প্রায় উন্মোচিত হয়ে গেছে। আমি জেলা আইনজীবি সমিতির বর্তমান এবং সাবেক সকল নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছি। অদিতা হত্যা মামলার কোন আসামির পক্ষে নোয়াখালী জেলা জজ কোর্টের কোন আইনজীবি আদালতে দাঁড়াবেননা। এবিষয়ে নোয়াখালী আইনজীবি সমিতি থেকে শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।

তিনি বলেন, আসামিদেরকে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে আমি এবং আমাদের বারের প্রায় সব সিনিয়র আইনজীবি রাষ্ট্র পক্ষে/ভিকটিমের পক্ষে আদালতে লড়বো। কোনভাবেই এই নৃশংসতম হত্যাকান্ডের আসামিদের ছাড় দেওয়া হবেনা।

এদিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় গজিয়ে ওঠা কিশোরগ্যাং সদস্যদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান এ্যাড. শিহাব উদ্দিন শাহীন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুরের নিজ বাসায় তাসনিয়া হোসেন অদিতাকে গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যা করা হয়। রাত ৯ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আব্দুর রহিম রনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত অদিতা নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন এবং নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লার আবুল খায়ের পেশকার বাড়ির মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে। তার মা স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।

আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments