কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী ইউনিয়নের মুক্তিরবাগ এলাকায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে অত্মহত্যা করেছে এক নববধূ। নিহত নববধূর নাম মোসাম্মদ সারমিন আক্তার (২৪)। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্তবস্থায় নববধূর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

জানা যায়, নিহত সারমিনের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার পশ্চিম রতন পুর এলাকায়। তার পিতার নাম আব্দুর রহীম। সে মা বাবার সঙ্গে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। একই বাড়িতে নিহতের স্বামীর (মো. নাছির) খালা মিতু ভাড়া থাকতেন। নাছির খালার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। সে সুবাদে নাছির-সারমিনের দেখাশোনা হতো। এক পর্যায়ে নাছির সারমিনের মধ্যে মন দেয়া নেয়া হয়।

গত চার মাস আগে তারা প্রেম করে গোপনে বিয়ে করে। সারমিন বিয়ের পরে জানতে পারে নাছিরের মুন্নি বেগম নামের আগে আরেকটি বউ রয়েছে। সে বউ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বেগুনবাড়ি এলাকায় সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। গত শুক্রবার বিকেলে মুন্নি বেগম স্বামীর বাড়ি মডেল থানার মুক্তিরবাগ এলাকায় আসলে স্বামী নাছির ও সতীন সারমিনের সঙ্গে ঝগড়া হয়।

ঝগড়ার এক পর্যায়ে নাছির মুন্নি বেগমকে মৌখিকভাবে তালাক দেন আর সারমিনকে গালমন্দ করেন, ইচ্ছা হলে সেও চলে যেতে পারে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সারমিন নাছিরের এ আচরণ সহ্য করতে না ঘরের ভেতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এরপর নাছির রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে আসে। নাছির ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সারমিনকে ডাকতে থাকে। ভেতর থেকে সারমিনের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালার কাছে একটি ছোট্ট ছিদ্র দিয়ে ভেতরে দেখে সারমিন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতেছে। এরপর তারা থানা পুলিশকে খবর দেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. মুনসুর আলী জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ফ্যানের সঙ্গে সারমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠাই। এ ঘটনায় সারমিনের পিতা বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।

আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments