বিএনপির ১৩ বছরে বিফল ২৬ আন্দোলনের ডাক- ওবায়দুল কাদের…

রবিবার, ০৮ মে ২০২২ | ৫:১৫ অপরাহ্ণ |

বিএনপির ১৩ বছরে বিফল ২৬ আন্দোলনের ডাক- ওবায়দুল কাদের…
প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য ও ছবিতে ডেক্স রিপোর্ট/সংবাদ গ্যালারি

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি গত ১৩ বছরে ২৬ ঈদে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের মুখ দেখেনি। বিএনপি আন্দোলনের কথা বললে এখন মানুষ হাসে। তের বছরে পারলানা কোন বছর পারবে। তাদের আন্দোলন নিয়ে এখন প্রশ্ন এই বছর না ওই বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর। তারা আন্দোলনের নামে ভুয়া হুমকি-ধুমকি দেয়। মাঠে আন্দোলনের কর্মি টোকাই পায় না।

বৃহস্পতিবার (৫ই এপ্রিল) দুপুরে দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি আরোও বলেন,বর্তমান সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপি গাত্রদাহ হয়। কারণ বিএনপি দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, তারা লুটপাটেও চ্যাম্পিয়ন। আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। অন্যান্য দেশ আমাদের দেশকে অনুসরণ করছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, জুন মাসে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে। এটা সরকারের জন্য বড় অর্জন। নিজেদের অর্থায়নে আমরা পদ্মাসেতু করেছি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে লুটপাট করে খেতো। উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও হতো না।


এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. শিহাব উদ্দিন শাহীন, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ শহীদুল ইসলাম, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পর দীর্ঘ প্রায় ৩৩ মাস পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এসেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত এক বছর নানা ঘটনায় সমালোচনায় পড়তে হয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দকে। আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে সংগঠনের ভেতর থেকেই। বড় ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ভাবীর বিরুদ্ধে কুটিল ভাষায় ব্যাপক বিষোদগার করেন। বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে বার বার খারাপ সংবাদের শিরোনাম হয় কাদের মির্জা। এতে স্থানীয় ভাবে সংগঠন পড়েছে বেজায় নাজুক অবস্থায়।


স্থানীয় রাজনীতিকে কাদের মির্জা বিরোধী অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। তাঁর মূলত খুঁটি হচ্ছে কাদের মির্জার আপন তিন ভাগনে। বাদল ও ভাগনেদের বিরুদ্ধেও কাদের মির্জাও নানা অভিযোগ তুলেন। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের এ দ্বন্দ্ব সংঘাতে কাদের মির্জার প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তারই আপন তিন ভাগনে। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত ও সিরাজিস সালেকিন রিমন। মূলত কাদের মির্জার পারিবারিক ভুল বুঝাবুঝির সূত্র ধরে এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এরপর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের মধ্যেই এই বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এ অভ্যন্তরীণ বিরোধ ছড়িয়ে যায়। সেই বিরোধের জের ধরে গত কয়েকমাসে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষে একজন সাংবাদিক সহ দুই জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় এক হাজার নেতাকর্মি। পাল্টাপাল্টি ৭২টি মামলা হয়। এতে আসামি হয় উভয় পক্ষের প্রায় সাত হাজার তৃণমূলের নেতাকর্মি। এখনো বাড়ি ছাড়া রয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মি। ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে অনেকে বাড়ি আসতে পারেনি।

আপনার মুল্যবান মতামত দিন......

comments

প্রধান কার্যালয়: শিমুল লজ, ১২/চ/এ/২/৪ (২য় তলা), রোড নং ৪, শেরেবাংলা নগর,শ্যামলী,ঢাকা‌.
বার্তা বিভাগ-01763234375 অথবা 01673974507, ইমেইল- sangbadgallery7@gmail.com

আঞ্চলিক কার্যালয়: বঙ্গবন্ধু সড়ক, আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও-৫১০০

2012-2016 কপি রাইট আইন অনুযায়ী সংবাদ-গ্যালারি.কম এর কোন সংবাদ ছবি ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথায় প্রকাশ করা আইনত অপরাধ

Development by: webnewsdesign.com